গাইবান্ধায় সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি ও ১১ প্রতিষ্ঠান ভাংচুর
জামায়াতের তাণ্ডব
নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ৩১ ডিসেম্বর ॥ সুন্দরগঞ্জ উপজেলার জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত তারাপুর ইউনিয়নের কালিরপাট নামক স্থানে সোমবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম লিটনের নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় হামলা চালায় জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা। এ সময় বেলকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবর রহমানের মোটরসাইকেলটি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে সুন্দরগঞ্জ-মীরগঞ্জ ও পুটিমারি সড়কের চাচিয়া মীরগঞ্জ এলাকায় রাস্তা কেটে বিশাল গর্ত করে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। তারা কালিরপাট এলাকায় ৯টি সংখ্যালঘু পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ ১১টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ এলাকার শিক্ষক গণেশ চন্দ্র সরকারের বসতবাড়ির চারপাশে টিনের বেড়া ভেঙ্গে দুমরে মুচড়ে দেয় এবং বাড়িতে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা চালায়। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়। ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন মোবাইলে জানান, সুন্দরগঞ্জে ৪ পুলিশ হত্যা এবং সন্ত্রাসী তা-বের পর ব্যাপক পুলিশী তৎপরতায় এতদিন জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন করেছিল। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা আবার এলাকায় ফিরে এসেছে এবং সন্ত্রাসী তৎপরতায় সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সংখ্যালঘু পরিবারগুলোকে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
চট্টগ্রামে আদালত ভবনে মিছিল ॥ বিচারকের এজলাস ত্যাগ
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত ভবনে বিএনপি-জামায়াত এবং আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীদের পাল্টাপাল্টি মিছিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সুপ্রীমকোর্টে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঘোষিত সারাদেশে আদালত বর্জনের কর্মসূচীর অংশ হিসেবে চট্টগ্রামে মিছিল করে বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা। এতে বিচার কার্যক্রম ব্যাহত হয়। এজলাস থেকে নেমে যেতে বাধ্য হন বিচারকরা। এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীরাও মিছিল শুরু করলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় আদালত অঙ্গনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে প্রশাসন। বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক আইনজীবীরা মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মিছিল শুরু করেন। এ সময় এজলাসে ছিলেন চট্টগ্রাম মুখ্য মহানগর হাকিম মোঃ মশিউর রহমান চৌধুরী। বিক্ষোভকারীরা বিচারকের খাস কামরা পর্যন্ত যান। এ ছাড়া এজলাসের কাছাকাছি বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে শুরু করলে সার্বিক পরিবেশ বিঘিœত হয়। এ অবস্থায় এজলাস ত্যাগ করেন বিচারক। একইভাবে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে আরও ছয়টি এজলাস থেকে বিচারকরা নেমে পড়েন।
Post a Comment