Header Ads

test

all kayeda


হালনাগাদ: ৫ সেকেন্ড আগে ঢাকা, বুধবার মার্কিন ড্রোন বিরোধী পাল্টা ব্যবস্থা গড়ছে আল-কায়েদা মার্কিন ড্রোন বিরোধী পাল্টা ব্যবস্থা গড়ছে আল-কায়েদা :: দূরদেশ ডেস্ক :: মার্কিন ড্রোন বিরোধী পাল্টা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে আল-কায়েদা। আল কায়েদার নেতৃত্বে গঠিত প্রকৌশলীদের বিশেষ সেলের মাধ্যমে এ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে। এতে বিশেষ প্রযুক্তিতে গুলিবিদ্ধ করে নিচে ফেলে দেয়া, সিস্টেমে জট লাগিয়ে দেয়া, অচল করে দেয়া, কিংবা দূর নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ড্রোন ছিনতাই করে ফেলার নানা পদ্ধতি তৈরি করছে আল কায়েদার প্রকৌশলীরা। বুধবার গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন গোয়েন্দা তথ্য প্রমাণের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তাতে বলা হয়, যেসব ঝুঁকি সন্ত্রাসী নেটওয়ার্কের ওপর ব্যাপকভাবে ক্ষতি সাধন করেছে, ড্রোনের অস্ত্র ব্যবস্থাপনার প্রযুক্তিগত সেই ঝুঁকিগুলো বিশ্লেষণ করে আল কায়েদার প্রযুক্তিবিদরা মার্কিন ড্রোন হামলার পাল্টা ব্যবস্থা গড়ে তোলার আশা করছে। সাবেক মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডওয়ার্ড স্নোডেনের ফাঁস করে দেয়া গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্ট প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। “মনুষ্যবিহীন বিমান বাহনে হুমকি” শীর্ষক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওয়াশিংটন পোস্ট। ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ড্রোন বিষয়ক মূল্যায়ন ও বিশ্লেষণমূলক রিপোর্টগুলোরই সারসংক্ষেপ এই “মনুষ্যবিহীন বিমান বাহনে হুমকি”। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, ইয়েমেন এবং সোমালিয়ায় গোপন নজরদারি ও হামলায় ব্যবহৃত মার্কিন ড্রোনগুলো পাল্টা হামলার শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আমেরিকা। আল কায়েদা ২০১০ সাল থেকে ড্রোন ধ্বংসের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে। সংগঠনটির নেতারা আশা করছেন, তারা এখন ড্রোনগুলোকে ধ্বংস বা তাদের নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হবেন। রিপোর্টে দেখা যায়, এসব হামলায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারী ও শিশুসহ বেসামরিক মানুষই মারা যাচ্ছে, যা মার্কিন বিরোধী মনোভাব উস্কে দিচ্ছে। গত এক দশকে মার্কিন ড্রোন হামলায় আনুমানিক ৩০০০ লোক মারা গেছে। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশকে মনে করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাস বিরোধী রণকৌশলের প্রধান ভিত। যিনি পর্বত আর জঙ্গল ঘেরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের সন্ত্রাস দমনে ড্রোনের বৈপ্লবিক ব্যবহার করেছিলেন।

No comments